নার্সিং ভর্তি ও নিয়োগ প্রস্তুতি (সাধারন জ্ঞান প্রশ্ন)

নার্সিং ভর্তি ও নিয়োগ প্রস্তুতি (সাধারন জ্ঞান প্রশ্ন)

নার্সিং ভর্তি ও নিয়োগ প্রস্তুতি র জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাধারন জ্ঞান প্রশ্ন: উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ।
সতর্কীকরণ: প্রয়োজনে টাইম লাইনে শেয়ার করুন। কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ। আমরা কাট, কপি, পেস্ট নয়, মৌলিকতায় ব্শ্বিাসী।

♦ বঙ্গবন্ধু রেল সেতু:

  • নির্মাণস্থল: যমুনা নদী (দেশের সর্ববৃহৎ রেল সেতু)
  • দৈর্ঘ্য: ৪.৮ কিলোমিটার
  • ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন: ২৯ নভেম্বর, ২০২০ (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)
  • ব্যয় ধরা হয়েছে: ১৬ হাজার কোটি টাকা
  • নির্মাণে সহযোগিতা করবে: জাপানের কোম্পানি জাইকা
  • নির্মাণকাজ শেষ হবে: ২০২৫ সালে

♦ পদ্মা বহুমুখী সেতু:

  • অবস্থান: মাওয়া (মুন্সিগঞ্জ) – জাজিরা (শরীয়তপুর)।
  • মূল সেতুর দৈর্ঘ্য: ৬.১৫ কিলোমিটার।
  • প্রস্থ: ১৮.১০ মিটার।
  • লেন: ৪টি।
  • পিলার সংখ্যা: ৪২টি।
  • স্প্যান সংখ্যা: ৪১টি।
  • মোট পাইলিং: ২৮৬টি
  • প্রথম স্প্যান বসানো হয়: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ (৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের উপর)।
  • ৪১তম স্প্যান বসানো হয়: ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ (১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের উপর)।
  • প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য: ১৫০ মিটার (এক পিলার থেকে অন্য পিলারের দূরত্ব)।
  • ভূমিকম্প সহনশীলতার মাত্রা: রিখটার স্কেলে ৯।
  • পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক: ১৪ কিলোমিটার।
  • পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসন হয়েছে: ১২ কিলোমিটার।
  • পানির স্তর থেকে পদ্মা সেতুর উচ্চতা: ৬০ ফুট।
  • প্রত্যক্ষভাবে জড়িত জেলা ৩টি (মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং মাদারীপুর)।
  • ঢাকার সাথে সংযুক্ত করবে- ২৯টি জেলাকে।
  • পদ্মা সেতুর আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে- ১০০ বছর।
  • পদ্মা সেতু এশিয়ান হাইওয়ে AH-1 এ অবস্থিত। অর্থায়ন- নিজস্ব।
  • পদ্মা সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে- চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিডেট (চীন)।
  • পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়- ৪ জুলাই ২০০১ (মূল কাজে উদ্বোধন- ১২ ডিসেম্বর ২০১৫) এবং চালু হবে ২০২২ সালে।

♦ প্রস্তাবিত দ্বিতীয় পদ্মা সেতু:

  • দেশের দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মিত হবে- পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ পয়েন্টে।
  • দেশের দ্বিতীয় পদ্মা সেতু সংযুক্ত জেলা- মানিকগঞ্জ-রাজবাড়ি।

♦ পদ্মা সেতু রেল সংযোগ:

  • নির্মাণকালের মেয়াদ- জানুয়ারি ২০১৬-জুন ২০২৪।
  • নির্মাণকাজের উদ্বোধন- ১৪ অক্টোবর ২০১৮
  • এ প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মাণ হবে- ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭৩ কি.মি. রেলপথ ।
  • জি টু জি ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি চায়না রেলওয়ে গ্রুপের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়।
  • রেলপথ নির্মাণকাজ শেষ করে খুলে দেওয়া হবে- ২০২৪ সালে।

♦ স্বপ্নের কর্ণফুলী টানেল:

  • চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে- দেশের প্রথম টানেল।
  • চীনের বাণিজ্য নগরী সাংহাইয়ের ওয়ান সিটি টু টাউন’র আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে স্বপ্নের কর্ণফুলী টানেল।
  • নির্মাণ শুরু- ২০১৫ সালের নভেম্বরে (৩২% কাজ সম্পন্ন হয়েছে)।
  • শেষ হবে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে।
  • দৈর্ঘ্য- ৩.৩২ কিলোমিটার।
  • ব্যয় ধরা হয়েছে- ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।
  • উদ্বোধন করা হয়- ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ (উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)।

♦ মেট্রোরেল প্রকল্প:

  • অফিসিয়াল নাম- Mas Rapid Transit (MRT) Line-6.
  • পল্লবী থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত (উত্তরা-মতিঝিল) রোডে তৈরী হবে এ মেট্রোরেল প্রকল্প।
  • দৈর্ঘ্য হবে- ২০.১০ কিলোমিটার।
  • মেট্রোরেলের স্লোগান- বাঁচবে সময় বাঁচবে তেল, জ্যাম কমাবে মেট্রোরেল।
  • স্টেশন থাকবে- ১৬ টি (উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপা আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেসক্লাব এবং মতিকিল)।
  • যাত্রী ধারণ ক্ষমতা- উভয় দিকে প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার ।
  • উত্তরা থেকে মতিঝিল যাতায়াত সময় লাগবে মাত্র ৩৭ মিনিট।
  • ট্রেন ছাড়বে- প্রতি ৪ মিনিট পরপর।
  • সর্বোচ্চ গতিসীমা- ১০০ কি.মি.।
  • টিকেট ব্যবস্থা হবে- ইলেকট্রনিক ।
  • বাস্তবায়ণ করবে- ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটি (ডিটিসিএ)।
  • সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করবে- জাপানের জাইকা।
  • মেট্রোরেলের কোচগুলো তৈরি করে জাপানের কাওসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম
  • মেট্রোরেল লাইন-৬ প্রকল্প এবং বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়- ২৬ জুন, ২০১৬।
  • মেট্রোরেলের মোট রুট থাকবে- ৬টি।

♦ পায়রা সমুদ্রবন্দর:

  • অবস্থান- পটুয়াখালী জেলার রামনাবাদে।
  •  মোট আয়তন- ১৬ একর জায়গা। অর্থায়ন- নিজস্ব।
  • পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৩ গেজেট আকারে প্রকাশ পায়- নভেম্বর ২০১৩ সালে।
  • পায়রা সমুদ্র বন্দর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে- ১০ আগস্ট ২০১৬।
  • বন্দরটি পরিপূর্ণভাবে চালু হবে- ২০২৩ সালে।

♦ বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি):

  • অফিসিয়াল নাম- Bus Rapid Transit (BRT) Line-3.
  • বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প গাজীপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতির বিমানবন্দর পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে।
  • মোট দৈর্ঘ্য- ২০.৫ কিলোমিটার।
  • স্টেশন- ২৫টি, টার্মিনাল- ২টি, ফ্লাইওভার- ৬টি।
  • অর্থায়ন- নিজস্ব।
  • যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান নাম- সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়।

♦ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়াল সড়ক):

  • প্রথম পর্যায় নির্মিত হবে- বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী।
  • এ উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য হবে- ২২ কিলোমিটার।
  • পরবর্তীতে এ উড়াল সড়ক সম্প্রসারণ করা হবে- উত্তরে গাজীপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত।
  • এ প্রকল্পের বিল পাস এবং নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়- ২০১১ সালে।
  • এ প্রকল্পে বিনিয়োগকারী সংস্থা- ইতালির থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক

♦ মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎ প্রকল্প (রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র):

  • নির্মাণস্থল: সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তসীমা ১৪ কিলোমিটার দূরে (বাগেরহাট জেলায় পশুর নদীর তীরে)।
  • নির্মাণকালের মেয়াদ: জুলাই ২০১৪-জুন ২০২৩।
  • উৎপাদন ক্ষমতা: ১৩২০ মেগাওয়াট।
  • ধরন- একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
  • প্রাথমিকভাবে উৎপাদন শুরু: ২০২০ সালে।

♦ দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (প্রথম পর্যায়):

  • অবস্থান: রূপপুর, ইশ্বরদী, পাবনা।
  • উৎপাদন ক্ষমতা- ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
  • কাজ শুরু হয় ৩০ নভেম্বর ২০১৭।
  • নির্মাণকারী সংস্থা- রোসাটোম স্টেট অটোমিক এনার্জি করর্পোরেশন, রাশিয়া।
  • কেন্দ্রটির আয়ুষ্কাল- ৫০ বছর।
  • উৎপাদন শুরু হবে- ২০২৩ সালে।
  • বাংলাদেশ পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশের তালিকায়- ৩২তম।

♦ দেশের প্রথম কয়লা চালিত আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্লান্ট:

  • অবস্থান: পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পায়রার ধানখালীতে।
  • উৎপাদন ক্ষমতা: ১৩২০ মেগাওয়াট।
  • বাস্তবায়ন করে: বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।
  • কয়লা আমদানি করা হয়: অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে।
  • বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়: ১৪ মে ২০২০

♦ দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে:

  • অবস্থান: যাত্রাবাড়ি-মাওয়া-জাজিরা-ভাঙ্গা।
  • দৈর্ঘ্ : ৫৫ কিলোমিটার প্রস্থ: ৪১.২০ মিটার
  • যা যা রয়েছে: ৪৪টি কালভার্ট, ১৯টি আন্ডারপাস, ৪টি বড় সেতু, ২৫টি ফ্লাইওভার, ২টি ইন্টার চেইন এবং ৪টি রেলওয়ে ওভারপাস
  • নির্মাতা: সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিরিয়াং ব্রিগেড
  • নির্মাণ ব্যয়: ১১,০০৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা
  • সংযুক্ত জেলা (উপকৃত হবে): ২২টি জেলার মানুষ সরাসরি এ এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উপকৃত হবে
  • উম্মুক্ত করা হয়: ১২ মার্চ ২০২০

♦ মাতারবাড়িতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর:

  • অবস্থান: চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি
  • বিশেষত্ব: দেশের চতুর্থ সমুদ্রবন্দর এবং প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর (বাকি তিনটি সমুদ্রবন্দর হচ্ছে- চট্টগ্রাম, মংলা এবং পায়রা)
  • চুক্তি: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ এই মেগাপ্রকল্পটি বাস্তবায়নে কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ
  • প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে: জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)
  • কাজ শুরুর সম্ভাব্য সময়: ২০২১ সালের শেষদিকে
  • নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার সম্ভাব্য সময়: ২০২৬ সালে
  • কনসাট্রান্ট ব্যয়: ২৩৪ কোটি টাকা
  • ঋণ দিবে: জাপান
  • যে বন্দরের আদলে নির্মিত হবে: জাপানের কাশিমা ও নিগাতা
  • গভীরতা হবে: ১৬ মিটার

♦ বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ:

  • অবস্থান: কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামের মিরসরাই (পূর্বের কক্সবাজারের কলাতলী থেকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ এর সাথে যুক্ত হবে)
  • দৈর্ঘ্য: ১৭০ কিলোমিটার + বর্তমান মেরিন ড্রাইভ ৮০ কিলোমিটার = ২৫০ কিলোমিটার
  • সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশা তৈরির কাজ করছে: অস্ট্রেলিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএমইটি ইন্টারন্যাশনাল
  • এ মেরিন ড্রাইভ নির্মাণে সহায়তা করবে: অস্ট্রেলিয়া
  • মেরিন ড্রাইভ হচ্ছে: সমুদ্র ঘেষা সড়ক

সতর্কীকরণ: প্রয়োজনে টাইম লাইনে শেয়ার করুন। কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ। আমরা কাট, কপি, পেস্ট নয়, মৌলিকতায় ব্শ্বিাসী।

নার্সিং ভর্তি গাইড কিনুন এখান থেকে

আমাদের ফেসবুক গ্রুপ

 

%d bloggers like this: