নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা (গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ বিজ্ঞান প্রশ্ন)

নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা র জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর

নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা র জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর

০১। আমাদের স্বাস্থ্য বহুলাংশে নির্ভর করে, যে খাদ্য আমরা খাই তার গুণগত মানের উপর।
০২। প্রতিটি খাদ্যই জটিল রাসায়নিক যৌগ।
০৩। খাদ্যের উপাদান ৬টি।
০৪। খাদ্য দেহের পুষ্টি সাধন করে।
০৫। খাদ্যের যেসব জৈব অথবা অজৈব উপাদান জীবের জীবনীশক্তির যোগান দেয়, তাদের একসঙ্গে পরিপোষক বা নিউট্রিয়েন্টন্স (Nutrients) বলে।
০৬। প্রাণীরা খাদ্যের মাধ্যমে পরিপোষক গ্রহণ করে।
০৭। কাজের জন্য যে শক্তির প্রয়োজন হয়, তা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য জারণের ফলে উৎপন্ন হয়।
০৮। খাদ্যের মধ্যে নিহিত শক্তিতে খাদ্য ক্যালরি বা কিলোক্যালরি হিসেবে মাপা হয়।
০৯। খাদ্যে ছয়টি উপাদান থাকে, খাদ্যের স্নেহ ও শর্করাকে বলা হয় শক্তি উৎপাদক খাদ্য।
১০। শর্করা দেহে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি ও তাপশক্তি উৎপাদন করে।

১১। ফ্রুকটোজকে ফল শর্করা (Fruit sugar) বলে।
১২। প্রতি গ্রাম শর্করা জারণে ৪ কিলেক্যালরি শক্তি উৎপন্ন হয়।
১৩। সেলুলোজ একটি অপাচ্য প্রকৃতির শর্করা।
১৪। শর্করা ও প্রোটিনের ক্যালরি প্রায় সমান- 4 k cal/g। ফ্যাটের ক্যালরি সবচেয়ে বেশি- 9 k cal/g।
১৫। উৎস অনুসারে আমিষ দুই প্রকার। যথা- প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ।

নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা
১৬। দেহকোষের বেশিরভাগই প্রোটিন দিয়ে তৈরি।
১৭। কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও নাইট্রেজেন- এ চারটি পদার্থের সমন্বয়ে আমিষ গঠিত।
১৮। অ্যামাইনো এসিড হচ্ছে আমিষ গঠনের একক।
১৯। প্রাণিদেহের শুষ্ক ওজনের প্রায় ৫০% প্রোটিন।
২০। স্নেহ পদার্থের অভাবে চর্মরোগ, একজিমা ইত্যাদি দেখা দেয়।

২১। ফ্যাটি এসিড এবং গ্লিসারলের সমন্বয়ে স্নেহ পদার্থ গঠিত হয়।
২২। খাদ্যে প্রায় ২০ ধরনের ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়।
২৩। তেল হচ্ছে অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড।
২৪। অতিরিক্ত স্নেহ পদার্থ দেহে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায়।
২৫। ভিটামিন জৈব প্রকৃতির যৌগিক পদার্থ।
২৬। স্নেহ দ্রবণীয় ভিটামিনগুলো: ভিটামিন A, ভিটামিন D, ভিটামিন E ও ভিটামিন K ।
২৭। পানিতে দ্রবনীয় ভিটামিনগুলো: ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ভিটামিন সি।
২৮। ভিটামিন A দেহের স্বাভাবিক গঠন এবং বর্ধন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার কাজ নিশ্চিত করে।
২৯। গাজরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন A পাওয়া যায়।
৩০। ভিটামিন A এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়।

 

৩১। ভিটামিন D এর অভাবে শিশুদের রিকেট রোগ হতে পারে।
৩২। একমাত্র প্রাণিজ উৎস থেকেই ভিটামিন D পাওয়া যায়।
৩৩। ডিমের কুসুম, দুধ ও মাখন ভিটামিন D এর প্রধান উৎস।
৩৪। সবরকম উদ্ভিজ্জ ভোজ্য তেল, বিশেষ করে পাম তেল ভিটামিন E এর ভালো উৎস।
৩৫। মানবদেহে ভিটামিন E হলো এন্টি-অক্সিডেন্ট।
৩৬। ভিটামিন  Eএর অভাবে জরায়ুর মধ্যে ভ্রূণের মৃত্যু হতে পারে।
৩৭। দেহের স্বাভাবিক সুস্থতার জন্য খাবারে ভিটামিন B কমপ্লেক্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ
৩৮। নিয়াসিন বা নিকোটিনিক এসিড ()  এর অভাবে পেলেগ্রা রোগ হয়।
৩৯। দেহে থায়ামিনের চরম অভাবে বেরি বেরি রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় ।
৪০। কোবালামিন বা  সায়ানোকোবালামিন এর অভাবে রক্তশূন্যতা রোগ দেখা দেয়।

 

৪১। ভিটামিন C দাঁত ও মাড়ি শক্ত রাখে।
৪২। টাটকা শাকসবজি ও টাটকা ফলে ভিটামিন C পাওয়া যায় ।
৪৩। ভিটামিন C এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়।
৪৪। খনিজ পদার্থ প্রধানত কোষ গঠনে সাহায্য করে।
৪৫। হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে রক্তশূন্যতা রোগ হয়।
৪৬। ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হয় এবং রক্ত সঞ্চালরে বিঘœ ঘটে।
৪৭। হাড় ও দাঁত গঠন করা ফসফরাসের প্রধান কাজ।
৪৮। প্রতি 100 ML রক্তে লৌহের পরিমাণ প্রায় 50 mg।
৪৯। লৌহের প্রধান কাজ হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করা।
৫০। মানুষের দেহের মোট ওজনের শতকরা দুই ভাগ ক্যালসিয়াম।

 

৫১। ফসফরাস হাড়, যকৃত এবং রক্তরসে সঞ্চিত থাকে।
৫২। আমাদের দৈহিক ওজনের ৬০-৭৫% পানি।
৫৩। রাফেজ প্রধানত উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়।
৫৪। রাফেজ মূলত সেলুলোজ নির্মিত উদ্ভিদ কোষপ্রাচীর।
৫৫। রাফেজ কোষ্ঠকাঠিন্য, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
৫৬। রাফেজ সরাসরি খাদ্যনালির মধ্য দিয়ে পরিবাহিত হতে পারে।
৫৭। প্রতিদিন ২০-৩০ গ্রাম আঁশযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।
৫৮। ২৫ হচ্ছে সুস্থ এবং স্বাভাবিক বিএমআই।
৫৯। একজন পূর্ণবয়সের শারীরিক পরিশ্রম করা মানুষের দৈনিক ২০০০-২৫০০ কিলোক্যালরি খাবার গ্রহণ করা উচিত।
৬০। মানবদেহের বৃদ্ধি ২০-২৪ বছর পর্যন্ত ঘটে।

 

৬১। বিএমআইয়ের সূত্র হচ্ছে- দেহের ওজন (কেজি) ÷ [দেহের উচ্চতা (মিটার)] ২ ।
৬২। একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ কর্মশীল পুরুষের প্রত্যহ প্রায় ২৫০০-৩০০০ কিলোক্যালরি শক্তির প্রয়োজন।
৬৩। উন্নত জীবনযাপনের জন্য খাদ্য উপাদান বাছাই করে খাওয়া উচিত।
৬৪। পুষ্টি বিশারদগণ পুষ্টির উৎসকে চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন।
৬৫। গরমের দিনে আখের গুড়ের সাথে চিড়া ভিজিয়ে খেলে শরীর সুস্থ থাকে।
৬৬। রাতের খাবার সাধারণত সহজপ্রাচ্য হওয়া উচিত।
৬৭। সফ্ট ড্রিংক, কোলা কিংবা লেমনের মতো গ্যাসীয় পাণীয়তে অতিরিক্ত চিনি থাকে।
৬৮। এতে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে প্রাণিজ চবি, ও চিনি থাকে।
৬৯। ফাস্টফুড কখনো সুষম খাদ্যের মধ্যে পড়ে না।
৭০। ফাস্টফুড খাওয়ার কারণে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের দেহ স্থ’ূলকায় হয়ে পড়ে।

 

৭১। খাদ্যে পচনক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার পর খাদ্য গ্রহণ করলে ফুড পয়জনিং হতে পারে।
৭২। টক্সিন  স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
৭৩। ফ্রিজিং পদ্ধাতিতে খাদ্যকে ও খাদ্যদ্রব্যকে  ফারেনহাইট অথবা তার নিচের তাপমাত্রায় রাখা হয়।
৭৪। অ্যাসেটিক এসিডের ৫% দ্রবণকে ভিনেগার বলে।
৭৫। লবণের দ্রবণকে ব্রাইন বলে।
৭৬। ফরমালিন দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে মেয়েদের গর্ভজাত সন্তান বিকলাঙ্গও হতে পারে।
৭৭। কালটার (culter) নামের হরমোন জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ গাছে স্প্রে করা হয়। এতে ফল দ্রæত পাকে না এবং গাছে দীর্ঘদিন থাকে।
৭৮। আফ্রিকার দেশগুলোতে এইডসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি।
৭৯। HIV দেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।
৮০। HIV সংক্রমণের পর ৫ বছর পর্যন্ত মানুষের দেহে কোনো রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায় না।
৮১। ভিটামিন B কমপ্লেক্স বা B ভিটামিন সংখ্যায় ১২টি।

আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করতে এখানে ক্লিক করুন

কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ।

 

%d bloggers like this: