নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা ২০২২-২৩ নিয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা

নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা ২০২২-২৩ নিয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা

নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা ২০২২-২৩ নিয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা।

প্রশ্নঃ ১। নার্সিং ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২২-২৩ কবে প্রকাশিত হবে?
উত্তরঃ বিগত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা ২০২২-২৩ এর সার্কুলার আগামী ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে দিতে পারে।

প্রশ্নঃ ২। পরীক্ষা কবে হবে?
উত্তরঃ  বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর, আবেদনের তারিখ, প্রবেশপত্র তোলার তারিখ এবং নার্সিং ভর্তি পরীক্ষার তারিখ সব উল্লেখ করে দেওয়া থাকবে। বলা যায় যে, সার্কুলার প্রকাশের ২২দিন বা ১ মাস পর যেকোন শুক্রবার নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে, সে হিসেবে মে মাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। আর নার্সিং ভর্তি পরীক্ষার সারকুলার বা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাথে সাথে আমরা সঠিক ভাবে পরীক্ষার তারিখ আপনাদের জানাতে পারবো। সাথেই থাকুন। নার্সিং ভর্তি সকল আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন।

 

প্রশ্নঃ ৩। আচ্ছা, ডিপ্লোমা; বিএসসি; মিডওয়াইফারি পরীক্ষা কি এক সাথে বা একই দিনে হয়?
উত্তরঃ যেহেতু মেডিকেলের মত গুচ্ছ পদ্ধতিতে নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা একই দিনে, একই সময়ে, একযোগে এবং একই প্রশ্নে অনুষ্ঠিত হয়। তাই বিএসসি, ডিপ্লোমা ও মিডওয়াইফারি পরীক্ষা একই দিনে, একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। তাই, যে কোনো একটিতে পরীক্ষা দিতে পারবেন।

প্রশ্নঃ ৪। প্রশ্ন কি একই হয় এবং কেমন হয়?
উত্তরঃ বিএসসি, ডিপ্লোমা ও মিডওয়াইফারির প্রশ্ন আলাদা আলাদা হয়। পরীক্ষার্থী যেই কেন্দ্রেই পরীক্ষা দেয় না কেনো বাংলাদেশের সকল কেন্দ্রে বিএসসিদের প্রশ্ন একই, সকল কেন্দ্রে ডিপ্লোমাদের এবং মিডওয়াইফারিদের প্রশ্ন একই। আর প্রশ্ন খুব সহজ বা কঠিন হয় না। মেডিকেল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থেকে তুলনামূলক ভাবে সহজ হয়।

Medicon Nursing Admission Guide

প্রশ্নঃ ৫। কোন কলেজ/ইনস্টিটিউটে কম নম্বরে চান্স হয়?
উত্তরঃ আবেদন করার সময় পছন্দের পর্যায়ক্রমে সবগুলো নার্সিং কলেজ/ইনস্টিটিউট চয়েস দেওয়া যায়। ঢাকায় বিএসসি নার্সিং কলেজ ২ টি (ঢাকা নার্সিং কলেজ এবং কলেজ অফ নার্সিং, শের ই বাংলা নগর)। এবং ডিপ্লোমা ইন নার্সিং & মিডওয়াইফারি ইন্সটিটিউট ১ টি (মিটফোর্ড নার্সিং ইন্সটিটিউট, ঢাকা)। এই গুলোতে চান্স পেতে হলে বেশি মার্ক পেতে হবে। ঢাকার বাইরে তুলনামূলক ভাবে অল্প নম্বর পেয়ে চান্স পাওয়া যায়। বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, মেয়েদের জন্য ৮০+ পেলে চান্স পাওয়া আশা করা যায়। কিন্তু, ছেলেদের চান্স পেতে হলে ৯০+ মার্ক পেতে হয়।

প্রশ্নঃ ৬। আলাদা আলাদা ভাবে পরীক্ষা হবে নাকি একই সাথে?
উত্তরঃ একই দিনে, একই সময়ে নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আপনি যেকোনো একটি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিলেই হলো। পরীক্ষার কেন্দ্র এডমিট কার্ডে লেখা থাকবে। যেই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক/সুবিধা হয়, সেখানেই পরীক্ষা দিতে পারবেন। আপনার প্রাপ্ত নম্বর এবং কলেজ/ইন্সটিটিউট চয়েস এর পর্যায়ক্রমের উপর নির্ভর করে আপনি কোন নার্সিং কলেজ/ইনস্টিটিউটে চান্স পাবেন।

 

প্রশ্নঃ ৭। পরীক্ষায় কি নেগেটিভ মার্কিং আছে?
উত্তরঃ নার্সিং ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং নেই। অর্থাৎ ভুল উত্তর দাগালে তার জন্য কোনো মার্ক/নম্বর কাটা যাবে না/মার্ক মাইনাস করা হবে না।

প্রশ্নঃ ৮। কীভাবে পড়লে চান্স পাওয়া যায়?
উত্তরঃ সর্বপ্রথম মূল বই পড়ুন। এবং সহায়ক হিসেবে ১/২/৩ টি গাইড (সাধ্যমতো) পড়তে পারেন। আমাদের গ্রুপের এবং পেইজের পোস্ট গুলোতে কি কি বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে, সেগুলো নিয়ে অনেক পোস্ট আছে। গ্রুপের অপশনের পোস্ট গুলো নিয়মিত দেখবে। সহায়ক বই হিসেবে আপনি মেডিকন নার্সিং ভর্তি গাইড ফলো করতে পারেন। কেন আমরা মেডিকন এর কথা বলছি, তারজন্য নিচের আর্টিকেলটি পড়ে দেখতে পারেন।

নার্সিং ভর্তি গাইড ও নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা

প্রশ্নঃ ৯। নার্সিং ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন বলেন?
উত্তরঃ নার্সিং ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন।
ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি+ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি:
বাংলা- ২০
ইংরেজি- ২০
সাধারণ গণিত- ১০
সাধারণ জ্ঞান- ২৫
সাধারণ বিজ্ঞান – ২৫
মোট= ১০০ নম্বর

বিএসসি ইন নার্সিং:
বাংলা- ২০
ইংরেজি- ২০
সাধারণ গণিত- ১০
সাধারণ জ্ঞান- ২০
সাধারণ বিজ্ঞান (পদার্থ, রসায়ন, জীব) – ৩০
মোট= ১০০ নম্বর

প্রশ্নঃ ১০। মানবিক ও বাণিজ্য বা কারিগরি বা উন্মুক্ত শাখা থেকে নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া যায় কি?
উত্তরঃ অবশ্যই। মানবিক, বাণিজ্য, বিএম, কারিগরি ও উন্মুক্ত থেকে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় ২০২১ অথবা ২০২২ ইংরেজি সালে এবং এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় ২০১৯ অথবা ২০২০ ইংরেজি সালে যেকোন বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় সর্বমোট নূন্যতম জিপিএ (GPA) ৬.০০ থাকতে হবে। তবে কোন একটি পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ২.৫০ এর কম গ্রহণযোগ্য হবে না। কিন্তু বিএসসি তে পারবেন না।

নার্সিং ভর্তি তথ্য ও নার্সিং সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর

 

প্রশ্নঃ ১১। ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি এই দুইটার মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারির মধ্যে পার্থক্যঃ
মিডওয়াইফারি বা Midwifery একটি ইংরেজি শব্দ, বাংলায় এর অর্থ ধাত্রীবিদ্যা। অর্থাৎ আপনি যদি মা ও শিশুর স্বাস্থ্য এবং বেবি ডেলিভারি রিলেটেড নার্স হতে চান, তাহলে আপনি মিডওয়াইফারিতে আবেদন করতে পারেন।
মিডওয়াইফারি কোর্সের নার্সদের Midwives বা বাংলায় প্রশিক্ষিত ধাত্রী বলা হয়। একজন মিডওয়াইফ ফ্যামিলি প্লানিং, প্রসবপূর্ব-কালীন, গর্ভ-কালীন এবং গর্ভ-পরবর্তী সময়ে এবং নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন।
ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি হচ্ছে তিন বছর মেয়াদি একটি নার্সিং কোর্স।
এই কোর্সটি সম্পন্ন করার পরে আপনি হাসপাতালের যেকোনো ইউনিটের নার্স হতে পারবেন। উদাহরণ স্বরূপ: ICU Nurse, CCU Nurse, Emergency Nurse, OT Nurse ইত্যাদি।
আরেকটি পার্থক্য হচ্ছে আসন সংখ্যা নিয়ে।সরকারি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এই কোর্সে ৪৩ টি ইন্সটিটিউটে মোট আসন ২৫৮০ টি। অপরদিকে সরকারি ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে ৩৮ টি ইন্সটিটিউটে মোট আসন ৯৭৫ টি।
বেসরকারি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের জন্য ১৬৫ টি ইন্সটিটিউট রয়েছে। অপরদিকে, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সের জন্য বেসরকারি ভাবে মোট ১৭ টি মিডওয়াইফারি ইন্সটিটিউট রয়েছে।
এখন আপনি সিদ্ধান্ত নিন, আপনি কোনটায় আপনার আগ্রহ এবং কোন কোর্সে আবেদন করবেন। আপনি কি নার্স নাকি Midwives হতে চান?

 

প্রশ্নঃ ১২। বেসরকারি নার্সিং কলেজে বা ইন্সটিটিউটে ভর্তির নিয়ম কি?
উত্তরঃ নার্সিং ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ বা তার বেশি নম্বর পেলে, আপনার ইচ্ছেমতো বেসরকারি নার্সিং কলেজ বা ইন্সটিটিউটে ভর্তি হতে পারবেন।

 

 

%d bloggers like this: